ভারত স্বাধীনতার এক বছর পর , ১৯৪৮ সালে স্বাধীন ভারত হিসাবে ভারতীয় হকি টিম অলিম্পিকে যোগ দিয়েছিল এবং সোনাও জিতেছিল।বৃটেনের মাটিতেই বৃটেনকে হারিয়ে ২০০ বছরের পরাধীনতাকে জবাব দিয়েছিল।এই পটভূমিকায় পরিচালক রিমা কাগতি তৈরি করেছেন ‘গোল্ড’। ৩৮ বছর আগে অলিম্পিক থেকে ভারতীয় হকি দলের ওটাই ছিল শেষ সোনা। ‘গোল্ড’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন তপন দাস(অক্ষয় কুমার)।মুম্বাই নিবাসী এই বাঙালি ভদ্রলোক ছিলেন ভারতীয় হকি ফেডারেশনের ম্যানেজার।ভদ্রলোক অতীব সুরাসক্ত হলেও তিনি ছিলেন হকি পাগল।১৯৩৬ সালে পরাধীন ভারতীয় হকি টিমেরও ম্যানাজার ছিলেন। সেবার দল যখন গোল্ড জিতেছিল সেদিনই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন স্বাধীন ভারতের হয়ে তিনি একদিন ‘গোল্ড’ জেতাবেন। ভারত স্বাধীন হলো ঠিকই কিন্তু দেশভাগ দেশটাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়ে গেল ইংরেজরা।ভারতীয় নতুন হকি টিমকে দাঁড় করাতে , সকলকে একসূত্রে গাঁততে শুরু হলো তপনের লড়াই।তপনকে সর্বদা সহযোগিতা করে গেছেন তাঁর স্ত্রী মনোবিনা(মৌনী রায়)।নিজের সোনার গহনা স্বামীর হতে তুলে দিয়েছেন ভারতীয় হকি টিমের জন্য।আর তাঁর লড়াই শেষ পর্যন্ত ভারতীয় হকি টিমকে সোনা জিতিয়েছিল। ছবিতে অক্ষয় ফাটিয়ে অভিনয় করেছন।তাঁকে বাঙালির চরিত্রে তাঁকে দারুন মানিয়েছে।তাঁর পাসে মৌনী
রায়কে একটু বেমানান লেগেছে।অন্যান্য চরিত্রে সকলকে বেশ লাগে। ছবির গানগুলোও ভালো লাগে। এরকম একটা ঐতিহাসিক ঘটনাকে পর্দায় নিয়ে আসার জন্য পরিচালক রিমা কাগতিকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়।শনিবার সন্ধ্যায় টেকনো মোবাইলের উদ্যোগে রেডিও মির্চির আয়োজনে ‘গোল্ড’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিং হয়ে গেল কলকাতার সিনেপলিস প্রেক্ষাগৃহে।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অপরাজিতা অাঢ্যো,সিধু,সাহেব চট্টোপাধ্যায়,ঈশা সাহা প্রমুখ।ছবির শেষে সিধু জানালেন,”ছবিটা খুব ভালো লেগেছে। স্পোর্টস নিয়ে এরকম আরো ছবি হওয়া দরকার।আর রেডিও মির্চিকে প্রশংসা করতেই হয় এরকম একটা ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিং করার জন্য”।রেডিও মির্চির রিজিওনাল ডিরেক্টর নিতিন সিং জানালেন , “এরকম একটা স্পোর্টস ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিং-এর আয়োজন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।টেকনো মোবাইলকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের সাথে অ্যাসোসিয়েট হওয়ার জন্য”। ___



রামিজ আলি আহমেদ