পরিচালক: অরিত্র মুখোপাধ্যায়
ধরন:Bengali, Comedy, Drama
সময়সীমা:2 Hrs 11 Min

ফাটাফাটির গল্প আবর্তিত হয়েছে ফুল্লরা ভাদুড়িকে (ঋতাভরী চক্রবর্তী) ঘিরে। তাঁর স্বামী, শাশুড়ি, ছোট্ট দেওরকে ঘিরে ভরা সংসার। স্বামী বাচস্পতি ভাদুড়ি (আবীর চট্টোপাধ্যায়)। পাড়ার একটি জনপ্রিয় কাপড়ের দোকানে কাজ করে সে। স্ত্রী ফুল্লরা ভাদুড়ি (ঋতাভরী চক্রবর্তী) নতুন কিছু করবে বলে উদ্যোগ নেয়। স্বামীর সাপোর্ট তার জীবনে যথেষ্টই আছে। তবে সমস্যা অন্য জায়গায়। ফুল্লরা মোটা। আগে ছিল ৮৫ কেজি, এখন হয়েছে ৯৫ কেজি।
তাঁকে খোঁটা শুনতে হয় তবে চেহারা নিয়ে। শাশুড়ির কথায় ‘হাতির পিঠে সুতো ব্লাউজ পরার ছুঁতো।’ তবে তাঁর বর আর দেওর কিন্তু তাঁর রূপ গুণ দুইয়ের জন্যই ভালোবাসে। শাশুড়ি যে মন্দ বাসে এমন নয়। তবে তাঁর চেহারা পছন্দ নয়।
দেওরের সঙ্গে মিলে ফুল্লরা একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট চালায় । সেখানে ফ্যাশন নিয়ে ভাবনা পোস্ট করেন। নিজের কাজ দেখায়। দেখতে দেখতে পরিচিতি পান। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ওঠেন তিনি। এরই মাঝে তাঁর স্বামীর চাকরি চলে যায়। স্ত্রী সাহায্য করলে মেল ইগো চলে আসে মাঝে। যদিও স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা এতটুকু কমে না। এরই মাঝে একটা বড় ডাক আসে ফুল্লরার কাছে এবার? কোন পথে প্লাস সাইজ মডেলের স্বপ্ন পূরণ হবে তাঁর? কে সাহায্য করবে তাঁকে? সেটা নিয়েই এই ছবি।
এই ছবিতে ফুল্লরার চরিত্রে ঋতাভরী বেশ ভালো । তার স্বামীর চরিত্রে আবিরও ভালো । বিকি সেনের চরিত্রে নজর কাড়লেন স্বস্তিকা দত্ত ।
সিনেমাটির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল এটি বিভিন্ন গার্হস্থ্য সমস্যা, সামাজিক হয়রানি, এমনকি বৃহত্তর শরীরের মাপের মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সহিংসতা দেখানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সমাধানগুলি এলোমেলোভাবে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা ছাড়াই উপস্থাপন করা হয়।
আসলে, ছবিটি একটি সাধারণ ড্রয়িং-রুম ড্রামা নয়। এটি একটি সুরম্য বাংলা শহরে ভাল শুটিং করা হয়েছে. যাইহোক, একটি বড়-ক্যানভাস ফিল্ম শুধুমাত্র বহিরঙ্গন অবস্থানগুলির একটি গুচ্ছ সম্পর্কে নয়। ফাটাফাটিতে, চরিত্র এবং তাদের সংকট প্রতিদিন সন্ধ্যায় টেলিভিশন সিরিয়ালের নিয়মিত রান্নাঘরের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। মৌখিক আদান-প্রদান বাস্তবসম্মত হয় না এবং মাঝে মাঝে খুব খারাপ হয়। ফুলোরার ওজন নিয়ে ডাক্তারের প্রতিক্রিয়া বা অটো চালকের কটূক্তি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় না। শুরুতে, ফুলোরার শাশুড়ি এমন একটি ভাষা এবং সুরে কথা বলে যা শুধুমাত্র টেলিভিশন সিরিয়ালে বলা হয়।
অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে, রিংকুদির চরিত্রে অরিজিতা মুখোপাধ্যায় দারুন । লোকনাথ দে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন কিন্তু যতবারই তিনি পর্দায় আসেন তিনি একটি চিহ্ন রেখে যান। দেবশ্রী গাঙ্গুলী এবং সংঘশ্রী সিনহা তাদের কাজে যথেষ্ট ভালো।
GIPHY App Key not set. Please check settings