পরিচালক: অর্জুন দত্ত

ঘরকন্নায় ব্যস্ত শ্রীমতী আচমকা যদি নিজেকে জড়িয়ে ফেলে তাহলে কী হবে? সেটাই দেখানো হয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘শ্রীমতী’ ছবিতে। রান্নাঘরে সুখ খুঁজে পেত শ্রী। বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী রেবা দের মানসকন্যা সে। ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল, মেক্সিকান, জাপানিজ, ইতালিয়ান বা ফিউশন সমস্ত ধরনের কুইজিনের রান্নাই তাঁর কাছে জলভাত। পারফেক্ট রাঁধুনী হতে গিয়ে নিজের দিকে নজর দিতে পারে না শ্রী। তাই হয়ত লাস্যময়ী মল্লিকার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না সে।। হঠাৎই স্বামীর অফিসের বস এবং তাঁর অত্যাধুনিক তরুণী স্ত্রী মল্লিকার উপস্থিতি সুখের সংসারের তাল কাটে। বৃষ্টি চায় বউদিকেও মল্লিকার মতো সাজে পোশাকে, শরীরী চেহারায় ‘আধুনিক’ করে তুলতে। অনিচ্ছা সত্বেও শ্রীমতী জিমের ক্লাসে ভরতি হয়, শিখতে শুরু করে নাচ। গাবলু গুবলু চেহারার শ্রীমতীকে ‘৩৬-২৪-৩৬ ফিগারে’ আনতেই হবে, এটা বৃষ্টির জেদ।। ব্যস্ততার স্রোতে যে রেবাদির সঙ্গে ফোনে রোজ কথা হতো, তার শরীর খারাপ হয়েছে শুনেও একবার ফোন করা হয়ে ওঠে না। শ্রী নিজেকে নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে নিজের স্বামী অনিন্দ্যর অভিমান ভাঙানোর সময়টুকু পায় না সে। নিজের মধ্যেই একটু একটু করে হারিয়ে যেতে শুরু করে।
ছবিতে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় খুব ভালো । স্বামীর চরিত্র সোহম চক্রবর্তীও ঠিকঠাক অভিনয় করেছেন।ননদ বৃষ্টির ভূমিকায় তৃণা সাহা, শাশুড়ির ভূমিকায় দেবযানী বসু ভালো । জিম ট্রেনারের ভূমিকায় উদয় প্রতাপ সিংকেও ভালো লাগে । শ্রীমতীর ছায়াসঙ্গী কাজলের চরিত্রে খেয়া চট্টোপাধ্যায় কিন্তু অসাধারণ ।কিছু জায়গায় গল্পের গতি কমে গেছে । একঘেয়েমিও বেড়েছে । তবে অর্জুন দত্তর পরিচালনা খুব খারাপ নয় ভালো ।
GIPHY App Key not set. Please check settings