in ,

Shabash Feluda Review : সাবাশ ফেলুদা রিভিউ

এই ফেলুদা হাসে না।। সব সময় রেগে থাকে আর ভ্রু কুঁচকে প্রমান করে “এই আমি কিন্ত ফেলুদা”।।

Shabash Feluda Review
অভিনেতা: পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়,ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়,ঋত্বিক চক্রবর্তী,রুদ্রনীল ঘোষ,সৌরসেনি মিত্র,অরিন্দম শীল

পরিচালক: অরিন্দম শীল

ধরন: Bengali, Thriller, Mystery

সময়সীমা: 3 Hrs 37 Min

Platform : ZEE5

Movie Rating

জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে সাবাশ ফেলুদা (Sabash Feluda ) এই সিরিজে রয়েছে ১০টি এপিসোড। গল্প মোতাবেক, শিবকুমার সেলভাঙ্কার নিজের হারিয়ে যাওয়া ছেলে বীরেন্দ্রকে খুঁজতে গ্যাংটকে এসেছে । বিভিন্ন বৌদ্ধ মনেস্ট্রিতে ঘুরতে থাকে সে। কিন্তু, আচমকা সে খুন হয়ে যান । হারিয়ে যায় তাঁর সঙ্গে থাকা যমন্তক। কর্মচারী শশধর বসু ফেলুদাকে রহস্য সমাধানের জন্য নিয়োগ করেন । দর্শকের মনে বেজে ওঠে সেই সিগনেচার টিউন।

ফেলুদার গল্পকে আজকের দিনের তুলে ধরতে গেছেন অরিন্দম শীল। অর্থাৎ আজকের যুগের সমস্যার সঙ্গে ফেলুদা কী ভাবে মোকাবিলা করবে,আর সেখানেই বেশ বিপত্তি করে ফেলেছেন পরিচালক । এখন ফেলুদা মোবাইল ব্যবহার করে,হাতে স্মার্ট ওয়াচ পরে । ক্রিকেটও খেলে ।

অভিনয় প্রসঙ্গে বলতে গেলে ফেলুদা হিসেবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কোন সন্দেহ নেই তিনি একজন ভালো অভিনেতা যিনি তার প্রজেক্টে তার সেরাটা দেন। কিন্তু এখানে ঠিক জমাতে পারেনি । শাবাশ ফেলুদার কোনো কাস্টিং নিখুঁত মনে হয় নাপ্রকৃতপক্ষে, চরিত্রগুলি এতটাই বিরক্তিকর আমি বুঝতে পারি না কেন তারা এইভাবে রায়ের গল্পটি পুনরায় তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ঋতব্রতকে দেখা গিয়েছে তোপসের ভূমিকায়। চেষ্টা করেছেন কিন্তু ঘাটতি থেকেই যায়। জি ফাইভের সিরিজের তোপসের আবার বান্ধবীও রয়েছে।একমাত্র শশধর বসুর চরিত্রে একটু ভালো কাজ করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।কিন্তু শশোধর বাবুর মত পোড় খাওয়া ব্রেন অবলীলাক্রমে ডঃ বৈদ্য সেজে মোবাইলের দুটো সিম স্লটে, শশোধর ও বৈদ্যের সিম লাগিয়ে জটায়ুর গল্পের ভিলেন হয়ে ওঠেন।এটা খুব হাস্যকর ।

রুদ্রনীল ঘোষের নিশিকান্ত সরকার একেবারেই অসহনীয়, এবং আমি আশ্চর্য হই যে কেন সে সব সময় অগোছালো কাজ করে গেছেন । এটা ঠিক যে, তার চরিত্রে আরও অনেক কিছু আছে যা পরে বেরিয়ে আসে। সৌরসেনি মিত্রর এই সিরিজে তাঁর বিশেষ কোনও ভূমিকাই নেই । 

10টি পর্বের সাথে ফেলুদা অপ্রয়োজনীয় সংলাপ এবং পরিস্থিতি এখানে এবং সেখানে পপ আপ সহ, রহস্য সিরিজটি কিছুটা দীর্ঘ বলে মনে হয়। এই মুহূর্তগুলি সিরিজে কিছু যোগ করে না এবং দেখতে এতটাই বিরক্তিকর যে আপনি ভাল অংশগুলি পেতে এড়িয়ে যাবেন। বেশিরভাগ সময়, আমরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি নিয়ে কথা বলি যেগুলির কেন্দ্রীয় চরিত্র বা রহস্যের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই এবং বেশিরভাগ চরিত্রগুলি সোনার কেল্লা এবং জয় বাবা ফেলুনাথের চরিত্রগুলির অদ্ভুতভাবে মূর্ত রূপ। নিশিকান্ত সরকারের অপ্রয়োজনীয় ক্রিয়াকলাপগুলি বিরক্তিকর কেকের উপর আইসিং মাত্র। এটা দেখতে শুধু বিব্রতকর। ডঃ বৈদ্যর সস্তা প্রস্থেটিক মেক আপের মতোই একটা টানটান গল্পে চর্বি লাগিয়ে মেদ বহুল করার আন্তরিক প্রচেষ্টা।

যাই হোক, শুনলাম অরিন্দমবাবু খুব পড়াশোনা করে, খাটাখাটনি করে এই সিরিজটা বানিয়েছেন, তাই অশিক্ষিতরা এটাকে খারাপ বললে তিনি তাতে কর্ণপাত করতে না করেছেন। আমি একটা জিনিস বুঝি না, ডিরেক্টর সাত রাত না ঘুমিয়ে আটশো বাইশটা বই পড়ে তিরিশটা সাম্প্রতিক সাবপ্লট যোগ করে আদপে একটা অখাদ্য প্রোডাক্ট বানালেন, তাতে সত্ত্বেও দর্শক ‘আহা লোকটা কত্ত পড়াশোনা করেছে ‘ বলে দেখে চুপ থাকবে ? আসলে জিনিসটা তো হয়েছে একটা বিদঘুটে দিকভ্রান্ত ওভারস্ট্রেচড জগাখিচুড়ী। তার জন্য কী পড়াশোনা করেছেন তাতে কী যায় আসে!

সত্যি বলতে এটা সত্যি বিরক্তকর ফেলুদা।

Report

What do you think?

69 points
Upvote Downvote

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published.

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

সংস্কৃতির শিকড়কে না ভোলার আহ্বান জানিয়ে কোলকাতায় হয়ে গেল মিস মিসেস ইণ্ডিয়া ২০২৩ প্রতিযোগিতা

Fatafati (2023) Bengali Movie Review : ফাটাফাটি রিভিউ