ছবি: বিসমিল্লাহ
পরিচালনা: ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত
অভিনয়ে: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সুরাঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, অপরাজিতা আঢ্য, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, সার্থক দাস, অগ্নিজিৎ সেন
দৈর্ঘ্য: ২ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট
প্রশংসিত সানাই বাদক ওস্তাদ রশিদ আলী (কৌশিক গাঙ্গুলি) একজন গর্বিত মানুষ। তিনি কেবল তার শিল্পের সাথে নয়, জীবনেও আপস করতে রাজি হননি। তার শেষ পূরণ করা কঠিন খুঁজে পাওয়া সত্ত্বেও, তিনি দাতব্য প্রত্যাখ্যান করেন।রশিদ আলির (কৌশিক) দুই স্ত্রী শাকিলা (বিদিপ্তা) ও সাফিনা (স্নেহা) ছাড়াও তিন ছেলে ফুয়াদ (অগ্নি), বিসমিল্লাহ (ঋদ্ধি) ও একরামকে (সার্থক) নিয়ে তার সংসার। বড় ছেলে হামিদ কলকাতায় চাকরি করতে গিয়ে সেখানেই থেকে গেছে। তার ছোট ছেলে বিসমিল্লাহ (ঋদ্ধি সেন) তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে। তিনি সঙ্গীতে মেধাবী এবং বাঁশি বাজান কিন্তু তার ভবঘুরে প্রকৃতির কারণে বাবার পেশা গ্রহণ করেন না। অবশেষে, তিনি যখন শেহনাইয়ের দিকে মনোনিবেশ করেন, ’ রশিদের যোগ্য ছাত্র শিবু (গৌরব) সানাই ছেড়ে এখন ডিজে বক্সের ব্যবসা শুরু করে লাভের মুখ দেখেছে। বিশুকে টাকার লোভ দেখিয়ে দলে টানতে চায় সে। কিন্তু একটা সময় বাবার মন্ত্রকে পাথেয় করে বিসমিল্লাহ হয়ে ওঠে তার সময়ের যোগ্যতম সানাইশিল্পী। তিনি দুই রহস্যময় নারীর মুখোমুখি হন – উমা (সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং ফাতিমা (শুভশ্রী গাঙ্গুলী)। তারা উল্লেখযোগ্যভাবে তাকে রাধার পুনর্জন্ম বলে মনে হয়, যখন তারা তার মধ্যে কৃষ্ণকে খুঁজে পায়। তিনজনকে ঘিরেই এগোয় ছবির গল্প ।
ছবিতে কারও অভিনয়ই কেউ সেইভাবে দাগ কাটতে পারেনি ।রশিদ আলির চরিত্রে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় কিছুটা চেষ্টা করেছেন । ঋদ্ধি সেন সেই মনে লাগেনা খুব খারাপ কিছু জায়গায় । শুভশ্রী হয়েছেন ফাতিমা, তাঁর চরিত্রায়নে ঠিকভাবে হয়নি । বাস্তব ও অবাস্তবের এক মিশ্রণ তাঁর চরিত্র। শুভশ্রী অভিনয় সেই দোলাচলটি রেখেছেন। বড়োমার চরিত্রে বিদিপ্তা চক্রবর্তী, শিবুর ভূমিকায় গৌরব চক্রবর্তী, ছোটমার চরিত্রে স্নেহা চট্টোপাধ্যায় এবং মমিনার ছোট ভূমিকার অপরাজিতা আঢ্য কেউই মনে লাগেনা । পরিচালক ইন্দ্রদীপ পৌনে তিন ঘণ্টার ছবি খুবই দুর্বল ।ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত প্রথম ছবি “কেদারা” যেভাবে দর্শকের মন জয় করেছিলেন, সেখান থেকে তাঁর কাজের ওপর প্রত্যাশা একটু বাড়তিই ছিল। কিন্তু অতীব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে তাঁর এই দ্বিতীয় ছবি ‘বিসমিল্লা’ (Bismillah) সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ ।শুভঙ্কর ভরের ক্যামেরার কাজ ভালো ।ছবিতে অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া ‘আজকে রাতে চলে যেও না’ এবং শ্রেয়া ঘোষাল ও সৌম্যদীপ মুর্শিদাবাদির গাওয়া ‘কেন যে তোমাকে দেখি’ গান দুটি বেশ ভালো ।
GIPHY App Key not set. Please check settings