অভিনয়ে – বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, মধুমিতা সরকার, ইন্দ্রাণী হালদার, সুজন মুখোপাধ্যায়
পরিচালনায় – সুদীপ দাস
বিয়ের পর মেয়েদের পদবি বদলটাই নাকি শাস্ত্রীয় নীতি। কিন্তু আসল সত্যটি হল, ব্রাহ্মণ্যবাদীদের চেষ্টায় স্ত্রীর প্রতি পুরুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই পদবি পরিবর্তনের এই প্রথা। বলা হয়, গোত্রান্তর হয়ে গেলে স্বামীর পদবিই স্ত্রীর প্রাপ্য। কিন্তু আমাদের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, রামায়ণ-মহাভারতের কোনও চরিত্রের কোনও পদবি তো নেই! রাম-লক্ষ্মণ, যুধিষ্ঠির-অর্জুনের পদবি আমরা জানি কি? সুদীপ দাসের এই নতুন ছবি ‘কুলের আচার’ এই পদবি বদলের গল্প নিয়েই তৈরি।
প্রীতম এবং মিঠি দু’জনেই ভালবেসে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর পদবি বদলাতে চায় না মিঠি। এই সিদ্ধান্তে তাঁর স্বামী প্রীতমেরও সায় রয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে এনিয়ে কোনও ঝামেলাও ছিল না। কিন্তু মিঠির শাশুড়ি মিতালি (ইন্দ্রাণী হালদার) হঠাৎই সিদ্ধান্ত নেন তিনিও এত বছর পরে আবার পুরনো পদবি ব্যবহার করবেন। সেখান থেকেই শুরু যাবতীয় বিপত্তি।
বিক্রম চ্যাটার্জী বেশিরভাগই নীরবতায় দাঁড়িয়ে থাকেন, এবং যদিও কেউ আশা করে যে তিনি কথা বলবেন বা আরও প্রকাশ করবেন, তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে এর অভাবটি দেখতে বেদনাদায়ক ছিল, বিশেষ করে যখন তার একাধিক জায়গায় সত্যিই আকর্ষণীয় মুহূর্ত তৈরি করার সুযোগ ছিল। তার সংযত প্রতিক্রিয়াগুলিও চলচ্চিত্রের গতিকে যথেষ্ট মন্থর করে দেয়
অভিনয়ে বিক্রম (Vikram Chatterjee) ও মধুমিতা (Madhumita Sarcar) জুটি বেশ ভালো । মিতালি ও প্রণোতোষের চরিত্রে ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Haldar) ও সুজন মুখোপাধ্যায় (Sujan Neel Mukherjee) তাঁদের কমিক কাজে লাগিয়ে সিচুয়েশনগুলো সুন্দর করে তুলেছেন।
পরিচালক সুদীপ দাসের কাজ মোটামুটি। সিনেমাটোগ্রাফি ভাল, ইমান চক্রবর্তীর ‘আমি আমার মাঝে’ বেশ সুন্দর, কিন্তু এর সমস্ত কিছুই এই সত্যের জন্য তৈরি করতে পারেনি যে শেষ পর্যন্ত, ছবি একটা সময়ের পর ধীর গতি নেয়।
GIPHY App Key not set. Please check settings