শুরু হলো রেড ওকারের ফ্যাশন-লাইফ স্টাইল প্রদর্শনী ‘ইকুইলিব্রিয়াম’। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।শিল্পী শর্মিষ্ঠা রায় চৌধুরীর সৃষ্টি নিয়ে এই প্রদর্শনী চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত, আইসিসিআর এর অবনীন্দ্রনাথ গ্যালারিতে। ফোক আর্ট এর সাথে ফ্যাশন এর এই মেলবন্ধন ওয়াকে অংশগ্রহণ করলেন চৈতালি দাশগুপ্ত, অলকানন্দা রায়, সুদর্শন চক্রবর্তী, রূপা চক্রবর্তী, অর্ণব বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।
রেড ওকার হল কলকাতা ভিত্তিক একটি বিশেষ ফোকআর্ট বেসড লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড যেটির মূলে রয়েছে গ্রামীণ কারিগরদের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ কাজ। প্রকৃতির মধ্যে থেকেই এর মূল রসদ সংগ্রহ।এদের প্রদর্শনী শহর কলকাতায়। ২৭ জানুয়ারি-২৯ জানুয়ারি অবনীন্দ্রনাথ গ্যালারিতে( আইসিসিআর)
চলছে এই প্রদর্শনী।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্পীদের তৈরি করা কাজ পকেট ফ্রেন্ডলি দামে পাওয়া যাচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে একটা কারিগর উপজাতি গড়ে তোলার জন্য।
রেড ওকার স্টুডিওতে প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত যেকোন কিছুর গল্প বোনা চলতে থাকে এবং একটি সমসাময়িক ফ্যাশনের সাথে খাঁটি উপজাতীয় এবং লোকশিল্পীদের কাজের মিশেল ঘটানো হয়।
হস্তশিল্পের পোশাক, গহনা, বাড়ির টেক্সটাইল, টেবিলওয়্যার (সিরামিক এবং কাঠ খোদাই), আসবাবপত্র, ধাতব কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, ঝুলন্ত প্রসাধন, লাইট শেডস , ব্যাগ এবং আনুষাঙ্গিক, পেইন্টিং নানা প্রকার সামগ্রীর প্রদর্শনী যা নানা প্রান্তের লোকশিল্পীদের বানানো।
রেড ওকার ভারতীয় লোকশিল্প এবং আমাদের দেশের আদিবাসীদের প্রাণবন্ত শিল্পকর্মের প্রতি এক অদম্য আবেগ থেকে পরিশ্রম করে চলেছে।
রেড ওকারের বৈশিষ্ট্য হল এর সংমিশ্রিত উপজাতীয় শিল্প। শর্মিষ্ঠা রায় চৌধুরী এর নেপথ্যে মূল কান্ডারী।
শিক্ষাগত দিক দিয়ে তিনি একজন উদ্ভিদবিদ, পেশাগতভাবে একজন ব্যাংকার ছিলেন এবং এখন একজন স্বঘোষিত শিল্পী। তিনি বলেন,”
আমি পাঁচ বছর বয়সে প্রথম চারকোল হাতে ধরেছিলাম এবং তবে আমি তা দিয়ে কিছু সৃষ্টি করেছিলাম কিনা মনে নেই। পরে আমি ফাইনাস্ন নিয়ে কর্মজীবন শুরু করি। কর্পোরেট গোলকধাঁধায় ঘুরে বেড়ানো এবং হ্যামস্টার হুইলে ২০ বছর পর আমি ক্ষুধার্ত অ্যামিবার মতো খালি মন নিয়ে নতুন করে শুরু করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি।
অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশে ভ্রমণ করে আমি লোকশিল্পের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। তা কাশ্মীর থেকে একটি প্রাচীন লোহার অশোধিত গ্লোব থেকে পন্ডিচেরির ব্রাস মারমেইড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। শিল্প আমার জন্য আরেকটি বিস্তৃত এবং উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রার বীজ বপন করে।প্রায় তিন বছরের যাত্রা শেষ করে এবং করোনাকাল থেকে বেঁচে থাকার পরে, আমরা মনে করি যে আমরা তাঁতি এবং শিল্পীদের একটি সম্প্রদায় তৈরি করেছি যারা নিরলসভাবে ঐতিহ্যগত কৌশলগুলির সাথে কাজ করে এবং আধুনিক শহুরে ল্যান্ডস্কেপের জন্য উপযুক্ত কার্যকরী পণ্যগুলির একটি ভাণ্ডার প্রস্তুত করে চলেছে। প্রতিশ্রুতি হল কার্যকর এবং আর্থ-সামাজিকভাবে শক্তিশালী কারিগর উপজাতি তৈরি করা।আমরা আমাদের লক্ষ্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।” স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বললেন,” করোনার সময় অনেক লোক শিল্পীরই সমস্যায় পড়েছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সেই সব শিল্পীদেরও সুবিধা হবে। শর্মিষ্ঠার কালেকশন খুবই আকর্ষণীয়, সঙ্গে একটা স্নিগ্ধতা আছে। খুবই ভ্যারাইটি কালেকশন ওঁর রয়েছে।”
GIPHY App Key not set. Please check settings