ছবি:গহীন হৃদয়
পরিচালনা:অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়
অভিনয়:ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত,কৌশিক সেন,দেবশঙ্কর হালদার,লকেট চট্টোপাধ্যায়,দেবলীনা দত্ত
আবহ সঙ্গীত:শুভায়ু
ঋতুপর্না সেনগুপ্ত বারবার চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙ্গেছেন।তার আর প্রমান করার কিছু নেই কিন্তু এখনও অভিনয়ের প্রতি তার যে খিদে সেটা যেকোন নবাগতাকেও হার মানায়।সুচিত্রা ভট্টাচার্যের ‘গহীন হৃদয়’ হয়তো অনেকেরই পড়া। যেখানে সোহিনী(ঋতুপর্না সেনগুপ্ত)স্বামীর(দেবশঙ্কর হালদার) কাছে কোনও যৌনসুখ পায়না।স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নেই।আর সেখান থেকেই সোহিনীর মনে একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়।সেই ফাঁকা জায়গাটা পূর্ন করতে স্বামীর বন্ধু অনুপম(কৌশিক সেন) এল।অনুপম-সোহিনীর মধ্যে গভীর শারিরীক ও মানসিক সম্পর্ক তৈরি হল।সোহিনী তার স্বামীকে ডিভোর্স দেবে বলে সবরকম ব্যবস্থা নিল।এই সময়েই তার স্বামীর ক্যান্সার ধরা পড়লো।শুরু হল সোহিনীর নতুন অধ্যায়।তারপর কি হয় তা নিয়েই ছবি।
পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এক অতি বাস্তব সমস্যাকে তুলে ধরলেন।সোহিনীর সমস্যা বহু মধ্যবিত্ত বাঙালী স্ত্রীর সমস্যা।তাদের সমস্যার কথা কেউ ভাবেনা।বাঙালী বধূরা পরকীয়া সম্পর্কে জড়ালে গেল গেল রব ওঠে। কিন্তু তার কারন খোঁজার কেউ চেষ্টা করেনা।এরকম একটা সাহসী বিষয়কে ছবির কাহিনী হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ জানাতেই হয়।
আর সোহিনীর চরিত্রটা ঋতুপর্না ছাড়া অন্য কেউ এতটা চরিত্রের গভীরে ঢুকতে পারতেন বলে মনে হয়না।চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি কতটা সাহসী হতে পারেন তা তিনি বার বার দেখিয়েছেন।
এবারও দেখালেন।

দেবশঙ্কর হালদার ও কৌশিক সেন যথাযথ।আবহ সঙ্গীত এই ছবিতে একটা বড়ো ভূমিকা পালন করেছে।শুভায়ু কে এজন্য প্রশংসা করতেই হয়। পরিচালক ছবিটি সাদা কালোতে নির্মান করেছেন এবং মাঝে মাঝে যে সিম্বলিক গুলো এনেছেন তাতে ছবিটি আরো বেশি পূর্নতা পেয়েছে।ছবিটি বক্স ওফিস কালেকশন যাই হোক না কেন চিত্র সমালোচকদের মনের গভীরে থেকে যাওয়ার মতো ছবি ।
রিভিউ :রামিজ আলি আহমেদ